দাদার আমলের দাবী করতোয়া নদীর হাজিরঘাটের ব্রীজ !

0
1111

দিনাজপুর-গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সীমানাবর্তী করতোয়া নদীর হাজিরঘাট। দীর্ঘ স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরেও ব্রীজ না হওয়ায় প্রতিদিন স্কুল,কলেজ,পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশা লাখো মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।সময়ের ব্যবধানে উন্নয়নে সমাজ তথা দেশের পরিবর্তন ঘটলেও আজও উন্নয়নে পরিবর্তন হয়নি লাখো মানুষের পারাপারের বৃহত্তর এই হাজিরঘাটের।

এ ভোগান্তি চলে আসছে পথচারীরা বছরের পর বছর।দীর্ঘ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কোন সরকারের আমলেই নজরে আসেনি এই ব্রীজটির কথা।এ ভোগান্তির যেন শেষ নেই।এই হাজিরঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাত্র/ছাত্রী,ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার লাখো পথচারী খেয়া পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা।

এপাড়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ওপারে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট মাঝামাঝি দ্বি-সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর হাজিরঘাট।এই হাজিরঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত খেয়া পারাপার হচ্ছে প্রায় শতাধিক গ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।

সর্ববস্তরের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবহেলিত এই হাজিরঘাট।এ হাজিরঘাট থেকে দক্ষিনে ঘোড়াঘাটের দুরত্ব-৩ কিঃমিঃ।উত্তরে পশ্চিম রামচন্দ্রপুর হয়ে কাশিয়াবাড়ী বাজারের দুরত্ব–৫কিঃমিঃ।পূর্বদিকে পলাশবাড়ী উপজেলার দুরত্ব প্রায়-১৩ কিঃমিঃ।পীরগন্জ চতরা দুরত্ব-৯ কিঃমিঃ।

এই ঘাট দিয়ে ভাল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভের আশায় আলোকিত হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশা পথচারীরা নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।

আর পরিবার পরিজনরা থাকেন উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মধ্যে। বর্ষা মৌসুম এলেই নদী কানায় কানায় ভরে গেলে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি।এছাড়াও হঠাৎ কোন রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর। একটু দেরি হলে রোগীর জীবন অসহ্য যন্ত্রনাসহ পোহাতে হয় এ ঘাটে। বাই সাইকেল, মোটরসাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান,মাল বোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন।

বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীর অথৈয় পানিতে খেয়া পারাপারে আধা ঘন্টার স্থলে ১ঘন্টাও বেসামাল হয়ে পড়ে।এপার থেকে ওপারে অপেক্ষার দীর্ঘ সময় গুনতে হয়।
এমন তো অবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় বঞ্চিত হয় ক্লাস থেকে।বঞ্চিত হয় সাধারন ব্যবসায়ীরা কর্ম থেকে।এই ব্রীজটি নির্মানে ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

এমনি ভাবে ব্রীজের অভাবে যুগ যুগ ধরে চলছে আসছে এ ভোগান্তি।সাধারন মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী এই গুরুত্বপুর্ন স্থানে করতোয়া নদীর উপরে দিয়ে ব্রীজ নির্মান হওয়া অত্যন্ত জরুরী পড়েছে।

হাজিরঘাটে এই ব্রীজটি নির্মান হলে স্বল্প খরচে অল্প সময়ে ঘোড়াঘাট দিয়ে দিনাজপুর এবং রংপুরের পীরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ যাতায়াত করতে পারবে।

এনএইচ২৪/জেএস/২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here