গোপালগঞ্জে যান্ত্রিক ক্রুটির কারনে ৬ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাব। ফলে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতে নমুনা জেলার বাইরে পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত ১১ জুলাই হঠাত করে যান্ত্রিক ক্রুটির কারনে বন্ধ হয়ে পড়ে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাব। ফলে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগী ও সাধারন মানুষ। ল্যবটি বন্ধ হবার পর ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরো সহস্রাধিক নমূনা পরীক্ষা করতে পারেনি এখানকার ল্যাব। ফলে অনেকিই নমুনা পরীক্ষা করতে এসে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন কায্যালয়ে থেকে পরিচালিত ফেসবুকপেজে আরটি পিসিআর ল্যাব বন্ধে বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে বলা হয় শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবের যান্ত্রিক ত্রুটি (ল্যাব সংক্রমন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ টীমের পরামর্শ মোতাবেক দ্রুততার সাথে সমাধানের চেষ্টা করছে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনেরাল হাসপাতাল এবং সকল উপজেলাগুলোতে র্যাপিড আন্টিজেন কীটের মাধ্যমে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে জেলা সিভিল সর্জন অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় গোপালগঞ্জে ৩৫১ টি নমূনা পরীক্ষা করে ৬৯ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যূবরণ করেছেন ২ জন। আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া জেলায় ২৯ হাজার ৫৪৫ টি নমূনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ৩৫০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ৫ হাজার ১০৮ জন। আর এ পর্যন্ত জেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৮ জন।
আরটি পিসিআর ল্যাবের মাইক্রোবায়োলজি প্রফেসর রাফি আহমেদ বলেন, যান্ত্রিক ক্রটির কারনে গত ৬দিন ধরে ল্যাব বন্ধ রয়েছে। এতে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ল্যবটি বন্ধ হবার পর ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরো সহস্রাধিক নমূনা পরীক্ষা করতে পারেনি এখানকার ল্যাব।