করোনা সংক্রামনের উচ্চ ঝুঁকিতে ফকিরহাট উপজেলা। ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘতর হচ্ছে। এরই মধ্যে ২১শে জুনের নির্বাচন উপজেলাবাসীদের জন্য গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা ও জমায়েত না হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অনেক প্রার্থী তাঁর কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দল বেঁধে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটেছেন। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভোটাররা প্রার্থীদের বাড়ি আসতে সরাসরি নিষেধ করতেও পারছে না, আবার এ অত্যাচার সইতেও পারছেন না। একধরনের উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন সাধারণ নিরীহ জনগণ।
সোমবার (৭ জুন) উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারণারত নির্বাচন প্রার্থীরা মিডিয়ার সামনে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলার সাধারণ মানুষ নির্বাচন কেন্দ্রিক তাদের করোনা সংক্রমণের এ উৎকন্ঠার কথা জানান। তারা নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা, নাকি ভোট গ্রহণ- কোনটা জরুরী ?
যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তাদের দায়িত্বশীল আচরণ ও ফকিরহাট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের দাবি জানান সচেতন মহল। তারা বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে মোংলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ফলে করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের চেয়েও বেশি ভয়াবহতার মধ্য দিয়ে মূল্য চুকাতে হতে পারে ফকিরহাটবাসীকে।
বাগেরেহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান এ বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই শঙ্কার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনএইচ২৪/জেএস/২০২১