গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের ছুটির পর থেকেই মন্ত্রণালয়ে অনিয়মিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একরকম নিষ্ক্রিয়তায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামকে সমালোচনার মুখে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
নতুন আর এক সমালোচনার জন্মদিলেন তিনি অফিসে ঠিকমতো উপস্থিত না থেকে। মহামারি করোনাভাইরাসকালীন সময়ে সবচেয়ে নিরুত্তাপ যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রীর অনিয়মিত উপস্থিতি এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে আছে।
বিগত সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে সরকারের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা ওঠে। সরকারি দলের একাধিক নেতার মতে, এই সংকটের সময় তাঁকে সরিয়ে দিলে সরকারের জন্য তা বিব্রতকর হতে পারে ভেবেই তা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) গণমাধ্যম বিষয়টি নজরে আনলে নড়েচড়ে বসেন মন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রণালয়। কার্যালয়ে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি দাবি করেন, ঘরে বসেই দাপ্তরিক সব কাজ সারছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যারা আছি, তাদেরকে সুস্থ থেকেই কাজ করতে হবে। যারা অসুস্থ তারা তো এক মাস আসতে পারে না। কাজ কিন্তু থেকে নেই, কাজ চলছে। একটা ফাইলও আটকে নেই, সব ফাইল আপডেটেড।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন অফিস সব জায়গায়, এই এক জায়গায় তো অফিস না। যেখানে বসবো আমি, সেখানেই অফিস। আমাদের তো কিছু করার নেই। কারণ সবাই আক্রান্ত হয়ে গেছে। তাই ভুল প্রচারটা ঠিক নয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’