টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৯ শতাংশেরও বেশি। তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে।
কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজারের দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।
আরও পড়ুন: গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল, নিহত আরও ৩১
বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত দর অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শুরুতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দর ১২০ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত এ দর আমলে নিলে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। তবে ব্যাংকগুলো এখন ১২৬ টাকায়ও রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক দশক আগে ডলারের দর বেঁধে রাখার যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছিল, গত তিন বছর সেটিরই খেসারত দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল পরবর্তী সময় থেকেই দেশে ডলারের দর বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই সময় দরকার ছিল ডলারের দরের সঙ্গে সংগতি রেখে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো।
আরও পড়ুন: মিশরের পথে প্রধান উপদেষ্টা
কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার টাকাকে শক্তিশালী দেখাতে চেয়েছে। এ কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল পরবর্তী সময়ে এসে বাঁধ দিয়ে রেখেও টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যায়নি।