রেলস্টেশনে রকমারি সব মানুষের মিলনমেলা হয়ে থাকে,চোর-চামার-বিজ্ঞ আর বিত্তমান আগুন্তুক কিংবা রেলের নষ্ট বগীতে জন্ম নেয়া নিষ্পাপ শিশু সকলের সমাগমে চলে যায় রেলস্টেশনের দিন গুলো।
ব্যস্ত স্টেশনে কার মন ভাঙ্গল,কার ঘর ভাঙ্গল,কার দেহ বিক্রি হলো এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় যাত্রীদের না থাকলেও থেমে থাকেনা রেলের অন্ধকার গলিতে বেড়ে উঠা জনজীবন।তাদেরও কিছু সুখের গল্প থাকে,প্রণয়ের পরিণতি থাকে,থাকে স্বপ্ন হরণের গল্পও।ভিক্ষুকদের দলনেতা নতুবা কুলিদের সর্দার পদ লাভ করা নিয়েও থাকে দ্বন্দ।এভাবেই চলতে চলতে রোগে-শোকে ব্যস্ত থাকে রেলচিত্র।
শাহজাহান আহমেদ এর লেখা ‘পুবাল হাওয়া‘ বইটিতে রেলস্টেশনে বেড়ে উঠা বঞ্চিত ছন্নছাড়া কিছু চরিত্র গল্পের নায়ক,নায়িকার রুপে স্থান পেয়েছে। অর্থাৎ সুবিধাবঞ্চিত বলে তারা কারো প্রেয়সী বা প্রেমিক পুরুষ হতে পারবেনা এমনটি নয়।রিকসার হুড ফেলে স্রী-সন্তানকে নিয়ে ধর্মসাগর পার ঘুরতে যাওয়া তাদেরও চিরদিনের স্বপ্ন হতে পারে!