সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মো. নূর আলম (১৮) নামের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিহত নুর আলমের বড় ভাই আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত নুর আলম সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের দর্প গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ নুর আলমকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার সকালে সিলেট শহরের কদমতলী এলাকা থেকে কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম,আব্দুস ছাত্তারের পুত্র সুজন মিয়া, উমর গনি, ওসমান গনি , রুবিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজির আলম বলেন, পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় ও সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন ও আসামি আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
এদিকে আটককৃত কামরুল ইসলামকে শনিবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেলাল আহমেদর আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে আটককৃত অন্যদের শনিবার বিকাল আদালতে সোপর্দ করা হয় নি।
সুনামগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে ফসলি জমি থেকে মো.নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নুর আলম পশ্চিম বাংলাবাজারে একটি রেঁস্তোরা ব্যবসা পরিচালনা করতো।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক যুবক তাকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার সকালে জিরারগাঁও গ্রামের পাশে ফসলি জমি থেকে মো.নূর আলমের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এনএইচ২৪/জেএস/২০২১