বর্তমান যুগ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ্য ভাবে ই-কর্মাস এর উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ২০১৯ এর মহামারি করোনাভাইরাস দেশে যখন হানা দেয় তখন প্রায় সব কর্মক্ষেত্রই অনেকাংশে অচল হয়ে পড়ে। আর এই অচল মুর্হূতটাকে কাজে লাগিয়েছে তরুণ কিছু উদ্যেক্তরা এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে নারী উদ্যেক্তা।
তবে এই পদক্ষেপটা হুট করে নেয়নি কেউ। কথায় আছে প্রত্যেকটা জিনিস ও কাজের পিছনেই থাকেন একজন কারিগর। আর এই উদ্যেক্তাদের সংষ্ক্রিয়তার পিছনেও রয়েছে একজন কারিগরের হাত। আর তিনি হচ্ছেন বর্তমান অনলাইন বিজনেসের অতি জনপ্রিয় মুখ রাজিব আহমেদ স্যার। তার অনুপ্রেরনা ও দিক-নির্দেশনায় এগিয়ে চলেছে বাংলার হাজারও তরুন-নারীরা।
এরই মধ্যে তার নির্দেশনায় গড়ে উঠেছে বেশকিছু জনপ্রিয় গ্রুপ ও ছোট ছোট অনেক ফেসবুক গ্রুপ। এরই একটি ছোট গ্রুপ হচ্ছে- নীল মৃত্তিকা পরিবার। অন্যান্য গ্রুপের মতন রাজিব আহমেদ স্যারের নির্দেশনামতন অনেক উদ্যোক্তারাই এক্টিভ হেয়ে বাড়াচ্ছে নিজের পরিচিতি। র্অজন করে নিচ্ছে নিজের গ্রুপ খুলার মতন যোগ্যতা।
আজ এমনই এক সদস্যর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যিনি নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে পরিচিত হচ্ছে সবার কাছে। তার নাম জাকিয়া ফেরদৌস। যিনি তার ইন্টারনেটে দেওয়া পুরো সময় থেকে ৩ ভাগের এক ভাগ সময় নীল মৃত্তিকা পরিবারে দিচ্ছেন আর পরিচিত হচ্ছেন ১৪০০ সদস্যের এই ছোট পরিবারে।
শুধু নীল মৃত্তিকা পরিবারেই নয় তিনি ইতিমধ্যেই রাজিব আহমেদের Digital Skills for Bangladesh গ্রুপে সময় দিয়ে, ১০ মিনিট রাইটিং পোস্ট ২ বার , ১০০ প্রেজেন্টেশন পোস্ট ও রিডিং সিলেবাস পুরোটাই শেষ করেছে। প্রতিটা পদক্ষেপ খুব যত্ন করে পালন করেছেন জন্য আজ সকলের কাছে এতোটা পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন।
জাকিয়া উদ্যোগ শুরু করেন ২০২০ সালে। গত বছর ৩৫ দিন করোনার সাথে লড়াই করেছেন আর সেই কঠিন সময়ে খুঁজে পেয়েছেন ডিএসবিকে। সেই কোয়ারান্টাইনের সময়ে ১২ ই জুলাই ডিএসবি ও রাজিব স্যারকে পেয়েছিলেন। আর সেই থেকেই আপুর উদ্যোগ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা শুরু হলো। শুরু হলো আপুর ই-কমার্স নিয়ে জানাশোনা আর সময় দেওয়া রাজীব আহমেদ স্যারের গ্রুপে। তারপর ধীরে ধীরে ১ বছর সময় অতিবাহিত হচ্ছে আর ই-কমার্সে Jakia’s dream এর একটা শক্ত ভীত তৈরি হচ্ছে।
প্রোডাক্ট আনা, লাইভ করার মধ্যেই যে ই-কমার্স এখন সীমাবদ্ধ নয় সেটা জাকিয়া আপু বুঝতে পেরেই ডিএসবিতে বাংলা ভাষায় টাইপিং ও কন্টেন্ট লেখা শিখতে শুরু করেন, রিডিং সিলেবাস শেষ করে ইংরেজিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নিজের উদ্যোগের জন্য অনেক আইডিয়া পাচ্ছেন।
ছোট থেকেই কিছু করার স্বপ্ন দেখতেন। হঠাৎ বাবার মৃত্যু বিয়ে হয়ে যাওয়া সেই স্বপ্নের পথে বড় বাধা হয়ে গেল কারণ নতুন পরিবারের কোন সমর্থন পায়নি জাকিয়া।
কিভাবে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হয় স্যারের কাছ থেকেই শিখেছেন তিনি। এজন্য নিজের উদ্যোগ নিয়ে নিজের পরিচিতি তৈরির জন্য কাজ করছেন নিয়মিত।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজীব আহমেদ স্যার এর মতে, ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ২০২২ সাল হবে ছোট ছোট গ্রুপ গুলোর বছর। ছোট ছোট গ্রুপ গুলো নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দিক উন্মোচন করবে।
ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে রাজীব আহমেদ স্যারের ডিজিটাল স্কীল ফর বাংলাদেশ গ্রুপ এমন হাজারো জাকিয়ার স্বপ্ন পূরণে জ্ঞান দান করে আসছে।