লুচি কিন্তু অনেক জেলারই বিখ্যাত খাবার। তবে আমাদের রাজবাড়ী জেলার অতিথি আপ্যায়নে লুচির বেশ সমাদর। সকালের খাবার বা বিকালের জল খাবারেও পাওয়া যায় লুচির সাথে বাহারি সবজি বা মাংস। মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথেও লুচি খেতে বেশ মজাদার।
আসলে আমি নিজেও লুচির ভক্ত। লুচি সবজি আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। লুচির সাথে পায়েস, রসমালাই, রসগোল্লার ঝোল দিয়ে খেতে মিষ্টি প্রেমীদের মন্দ লাগে না।
লুচি তৈরির রেসিপিঃ আটা বা ময়দা, চিনি, লবন, সয়াবিন তেল বা সরিষা তেল এবং পানি৷
শুরুতে ময়দা, সামান্য চিনি, সামান্য লবন ও একটু তেল দিয়ে ভালো করে ১০ মিনিট হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ময়দা হাতের মুঠোয় চাপ দিলে দলা না বাধে ততক্ষণ পর্যন্ত মাখতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মেখে রুটির থেকে ছোট ডো এর মতো করতে হবে। ছোট ছোট ডো গুলো বেলে নিয়ে কড়াইয়ে গরম তেলে মিডিয়াম আঁচে ভাজতে হবে।
অবশ্যই ঢুবো তেলে ভাজতে হবে। আর এই ভাজার সময় কিছু টেকনিক আছে। তেলে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর চামচ বা খুন্তি দিয়ে লুচির উপর চাপ দিয়ে ভাজলে লুচি ছবির মতোই ফুলে উঠবে। এরপর গরম গরম পরিবেশন করতে হবে। লুচির সাথে খাসির কলিজা ভুনা, মুরগীর লটপটি, চিকেন চাপ, আবার নিরামিষ সবজি কারো কারো পছন্দ।