৩৬ বিলিয়ন ডলার করোনাকালেও রিজার্ভে রেকর্ড

0
1543

করোনার সংকটের মধ্যে গত অর্থবছরের শেষ মাসে জুনে তিন দফায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন রেকর্ড গড়েছে। প্রায় তিন বছর পর ৩ জুন রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। এর পর ২৪ জুন ৩৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। সর্বশেষ ৩০ জুন ৩৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ বিদায় ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০১ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আমদানি-রপ্তানি কম থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার আয় যেমন কম ছিল তেমনি ব্যয়ও কম ছিল। তবে শেষ সময়ে এসে রেমিট্যান্স বেড়েছে হু হু করে। জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ। গত বছরের জুনের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। আগের অর্থবছরের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। অন্যদিকে করোনার কারণে বিশ^ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে। ফলে রিজার্ভ বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনার শুরু দিকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলো ডলার কিনেছে। কিন্তু শেষের দিকে এখন ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখায়, ২৯ জুন রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার

৫৯১ কোটি ডলার। আর ৩০ জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০১ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ২৭১ কোটি ডলার।

২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। অর্থাৎ তিন বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার। আর জুন মাসেই রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ২০১৫-১৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১৬ কোটি ডলার। পরের বছর হয় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার। পরের দুই বছর ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের ঘরে রিজার্ভ ওঠানামা করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here