বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ এর সঙ্গে তার মেয়ে সামিরা তাসনিম চৌধুরীর ডিএনএ মিলেছে। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা যাবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে সিআইডি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৫ নভেম্বর ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আসে। ডিএনএ টেস্টে পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখা জানায় বডিটি ব্যারিস্টার সামিরা তাসনিম চৌধুরীর জৈবিক পিতা। তার মানে মাহমুদুর রহমান নামে যাকে দাফন করা হয়েছিল তিনি যে হারিছ চৌধুরী তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। যে কারণে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি দেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, বেতন এক লাখ ৮৩ হাজার
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বাংলাদেশের একটি পত্রিকার প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ওই বছরের চৌঠা সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকার সাভারের একটি মাদরাসায় দাফন করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিনের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে মাহমুদুর রহমান নামে কবর দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্ট করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। মেয়ে সামিরা তানজিনের সাথে পিতা হারিস চৌধুরীর ডিএনএ নমুনায় মিল পাওয়ার পর তাকে পরিবারের পছন্দমতো দাফনের নির্দেশ দিলেন আদালত।