সম্প্রতিই তৃতীয়লিঙ্গের মানুষের সাথে টিকা নিয়েছে জনপ্রিয় টলিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। ভূয়া ভ্যাকসিন নেয়ার ৪ দিন পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে, ভোরের দিকে অসহ্য পেটে ব্যথা শুরু হয় মিমির। সঙ্গে ঘাম দিতে থাকে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তচাপও বেশ কিছুটা কম ছিল। তারপর ভোর ৬টায় মিমির পারিবারিক চিকিৎসক তার বাড়িতে আসে। চিকিৎসক মিমিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও রাজি হননি তিনি। আপাতত বাড়িতে থেকেই চলছে চিকিৎসা।
মিমিকে দেওয়া করোনার এই প্রতিষেধক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে কলকাতা পৌরসভার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন —সম্ভবত হাম বা বিসিজি‘র টিকা কিংবা পাউডার গোলা পানি দেওয়া হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
এ অভিনেত্রী ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পৌরসভার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরে আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যা জলে গুলে দেওয়া হয়েছে। পেট এবং মূত্র সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এটা খুবই কড়া ওষুধ। জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, কসবার ক্যাম্পে কোভিশিল্ডের নাম করে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল। যার জেনেরিক নাম অ্য়ামিকাসিন। সেই ভায়েলের উপর কোভিশিল্ডের স্টিকার লাগিয়ে, সেই ওষুধ সাধারণ মানুষকে টিকা বলে চালিয়ে দিয়েছিল দেবাঞ্জন দেব।
এমনকি দেবাঞ্জন নিজেকে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) অফিসার বলেও পরিচয় দিতেন। যদিও সেটাও ছিল ভুয়া। পাশাপাশি নিজেকে কলকাতা করপোরেশনের বড় কর্তা বলে দাবি করতেন। বিগত বছরগুলোয় দেবাঞ্জনকে দেখা গিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিমসহ রাজ্যের অতিবড় মাপের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে। এমন কী ভিআইপি হিসেবে গাড়িতে নীল বাতিও ব্যবহার করতেন দেবাঞ্জন। সাধারণ রাজ্যবাসীসহ বিরোধীদের প্রশ্ন এতগুলো বছর দেবাঞ্জনকে কেন চিনতে পারলো না প্রশাসন। নাকি, না চেনার ভান করেই থাকত প্রশাসন। সর্ষের মধ্যে ভুত কিনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।