সারাবিশ্বে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গেছে স্বর্ণের দামে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০ ডলারের ওপরে বাড়লেও সপ্তাহজুড়ে কমেছে দামি এই ধাতুর দাম।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ধরে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকে।
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে যখন স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল ১ হাজার ৮৮১ ডলার। গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার পর তা বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ দশমিক ২০ ডলারে উঠে।
তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বড় দরপতন হলেও পরবর্তী আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে। ফলে সপ্তাহ শেষে স্বর্ণের বড় দরপতন হবে এমন ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু শেষ কার্যদিবস শুক্রবার ঘুরে দাঁড়ায় স্বর্ণের বাজার। একদিনে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বাড়ে ২০.২০ ডলার। এতে সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯০.৮৫ ডলার। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৬২ শতাংশ বা ১২.৩৫ ডলার।
এনএইচ২৪/জেএস/২০২১