বাগেরহাটের ফকিরহাটে শনাক্তের হার ৫০ শতাংশের উপরে

0
1083

বাগেরহাটের ফকিরহাটে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়েই চলছে করোনা সংক্রমণ। বুধবার (৩০ জুন) শনাক্তের হার ৫০.৮৭ শতাংশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান ও প্রচারণা করে হলেও সাধারণ মানুষ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক বা সামাজিক দূরত্ব নিতে কোন আগ্রহ নেই ক্রেতা বিক্রেতাদের। ফলে প্রতিদিনই করোনা রোগী বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ফকিরহাটের পত্রিকা বিক্রেতা গোপাল মিত্র (৬৫) সকাল ১০টায় হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে ফকিরহাটে পত্রিকা বিক্রির কাজ করতেন। এছাড়াও ফকিরহাটে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৭জন মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছে।

সড়েজমিনে ফকিরহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউন থাকলেও কেউ মানছে না সামাজিক দুরত্ব বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি। জটলা করে ক্রেতা বিক্রেতা কেনা বেচা করছে। কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়াও কসমেটিক্স, কাপড়, জুতার দোকানসহ প্রায় সব দোকান খোলা আছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলে দ্রুত দোকান বন্ধ করেন তারা। প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবার দোকান খুলে বসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় ফকিরহাটে কোভিড-১৯ স্যোস্যাল ট্রান্সমিশন হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৭ জনের নমুনায় ২৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীাক্ষা বাড়লে শনাক্তের হার আরও বাড়বে। অনেক ছর্দি-কাশির-জ¦রে আক্রান্ত হলেও পরীক্ষা করাতে আগ্রহী নয়। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বলেন, ফকিরহাটে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা দুটোই অব্যাহত আছে। স্ব স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here