টিকটক বন্ধে মিমি নুসরাতের সময় যেন আর কাটছেই না

0
1782

বন্ধ হয়ে গেছে টিকটক সহ ৫৯টি চাইনিজ অ্যাপ। সোমবার ভারত সরকার এমনই ঘোষণা করেছে। এই টিকটক অ্যাপে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী, বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান। নুসরাতের মতো না হলেও আরেক অভিনেত্রী ও যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতেন। তাঁদের অনুরাগীদের সংখ্যাও ছিল নজর কাড়ার মতো। তাই টিকটক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই দুই তারকার অনুসারীদের যে মন খারাপ হবে তা বলাই বাহুল্য।

এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নুসরাত জাহান বলেছেন, তিনি মনে করেন নিজের ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত থাকার একটা মাধ্যম মাত্র টিকটক। কিন্তু দেশের স্বার্থে যদি এই অ্যাপ বন্ধ করা হয়ে থাকে তাতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই।

২০১৮ সালে টিক টক অ্যাপটি জয়েন করেছিলেন নুসরাত জাহান। তবে এই অ্যাপ বন্ধ হয়ে গেলেও ফলোয়ারদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি। টিক টক অ্যাপের বদলে ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখবেন নুসরাত।

তবে এর সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন বসিরহাটের সাংসদ। নুসরতের প্রশ্ন, টিকটক বন্ধ হলেও ভারতে যে চীনা সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করেছে তাদের কী করা হবে? চীনা সামগ্রীর আমদানি ও রপ্তানি করে রোজগার করেন তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা কী?

অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী যদিও টিকটকের থেকে তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বেশি সক্রিয়। টিকটক বন্ধ হওয়ার জন্য মিমি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলছেন, তিনি একজন পারফর্মার। তাঁর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তাই প্রত্যেকটি প্লাটফর্মে তাঁর কাছে সমান। আগামীতে আরো কিছু অ্যাপ যদি বন্ধ হয়ে যায় তাতেও তাঁর কোন অসুবিধা হবে না বলেই জানিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী।

কিন্তু সঙ্গে তিনিও কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আশঙ্কা করছেন দেশে চীনা দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা কি কাজ হারাবেন? ভারতে কি বিকল্প বড় কারখানা তৈরি করা হবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here