দেশে করোনা ভাইরাসের চূড়ান্ত সংক্রমণ কবে হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু যখনই হোক, আমাদের দেশের বাস্তবতায় তা যে খুব ভয়াবহ হবে এ নিয়ে সবাই একমত। বিশেষত আসন্ন কুরবানির ঈদ ও গরুর হাট ঘিরে এই আশঙ্কা আরো তীব্র হয়েছে। যদিও দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন সব হাটেই মেনে চলতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। পশুর হাটে থাকবে ম্যাজিস্ট্রেটের টহল। নির্দেশনা মেনে না চললে ইজারা বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। এদিকে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ক্ষেত্রে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চলার দোহাই দিলেও বাস্তবে যে তা কেউ মানছে না তা স্পষ্ট। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা যখন ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে তখন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে ইজারাদারদের পকেট ভারি হবে বটে; কিন্তু করোনার সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নেবে ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হবে। এই পশুর হাটেই হয়তো হাড়ি ভাঙবে করোনা।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মহানগর হাসপাতালের সামনের সড়ক। এই দুটি হাসপাতালই করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত। ওই দুই জায়গা থেকে হাট সরানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক ভোরের কাগজকে জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাটে এমনিতেই রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এর মধ্যে কোভিড হাসপাতালের সামনে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত আরো বেশি উদ্বেগের।