অপরূপ কাশ্মীরকে নিয়ে লেখা এই ভ্রমণ কাহিনী। নান্দনিক সৌন্দর্যের বিবরণ নিখুঁতভাবে দিয়েছেন বুলবুল সরওয়ার।
বিভিন্ন জায়গার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাশ্মীরের ইতিহাস ও উঠে এসেছে। কাশ্মীরের চারপাশ ঘিরে থাকে মিলেটারিরা। ভারত অংশের পরাধীন এই কাশ্মীরের মানুষের মনে যে সুখ নেই তা আন্দাজ করা যায় সহজে।
তাই তো কাশ্মীরের নারী নাজনীন রুমালে চোখ মুছতে মুছতে বলে— দুনিয়াটা একটা যুদ্ধক্ষেত্রে। কি সংসার, কি অফিস–আদালত, আর কিইবা রাজনীতি —সর্বত্রই লড়াই। অন্ধকার কখনোই জায়গা ছেড়ে দেবে না, প্রদীপকে জ্বলে উঠতে হবে। আমরা হচ্ছি সেই প্রদীপ। পোড়ার জন্যই এ জীবন। তুমি আমার জন্য দোয়া করো।
তারপর নাজনীন মিলিয়ে যায়। যে নাজনীনের প্রেমে পড়েছিলেন লেখক।
এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ার পর, মনের ভিতরে কাশ্মীর ঘুরে দেখার তীব্র ইচ্ছে তৈরি হয়েছে। কল্পনার চোখে ঝিলমিল করছে ঝিলাম নদীর জল। নাজনীনকে মনে হচ্ছে স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা। ডাল লেক, শ্রীনগর, পেহেলগাঁও, বুট হাউস, ইউসুফ শাহ, হাব্বা খাতুনের কবিতা আর লেখকের কাশ্মীরের বন্ধুদের সাথে কল্পনায় কেটে গেলো মধুময় সময়!