গাইবান্ধায় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর এবং বিভিন্ন উপজেলায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। প্রায় প্রতিটি গাড়িকেই দাঁড় করিয়ে গন্তব্যের কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১ জুলাই গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল। বিশেষ করে শহরের প্রধান সড়ক গুলোতে প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তায়বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে।
মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত (প্রাইভেট কার) গাড়িকে দাঁড় করিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তবে মালবাহী গাড়িকে আগেই রাস্তা ফাঁকা করে দেয়া হচ্ছে চলাচলের জন্য। শহরের রাস্তায় অটোরিকশা ও অন্যান্য ব্যাক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও রিক্সাসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে এসব চিত্রের ব্যতিক্রমও আছে।
লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করায় স্টেশন রোডের আব্বাস উদ্দিন টাওয়ারের সম্মুখে জনৈক জাহিদের দোকান খোলা থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে দুইশ টাকা জরিমানা করেন।
এর আগে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে গতকাল বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিনিষেধ আরোপ করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে এই বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।