আসন্ন ইদুল ফিতরের শেষ সময়ে জমেছে ইদের কেনাকাটা। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। প্রিয়জনদের ইদ আনন্দ পরিপূর্ণ করতে সাধ্যের মধ্যেই কেনাকাটা করতে এ দোকান থেকে ওই দোকানে ঘুরছেন ক্রেতারা।
শেষ সময়ে এসে মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভিড় বেড়েছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। মার্কেট কমিটির কোনো উদ্যোগ কিংবা প্রশাসনিক তৎপরতা কোনোটিই দেখা মিলছে না।
এবারের ইদ কেনাকাটায় নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি ক্রেতা সমাগম দেখা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সেখানেও দাম বেশি হাকছেন ব্যবসায়ীরা।
এবারও ফুটপাতসহ নগরীর মার্কেটগুলোতে রয়েছে বাহারি পোশাকের সমাহার। তবে অনেক দোকানেই তুলনামূলক নতুন কালেকশন কম।
ক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের অজুহাতে দোকানিরা পণ্যের দাম বেশি হাকছেন। বেশি নিচ্ছেনও। অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় প্রতিটি পণ্যে ৫০- ১০০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। অনেকেই দাম দরে না পোষালে ফুটপাতের দোকানগুলোতে যাচ্ছেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার মধ্যে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। অধিকাংশ ক্রেতাই পণ্যের দাম কম বলছেন। অনেকে কেনা দামও বলছেন না। অথচ তাদের অন্য আরো খরচ আছে। তবে আশার কথা হলো গতকয়েক দিন থেকে তাদের বেচাকেনা বেড়েছে। ইদের আগ পর্যন্ত এভাবে বিক্রি হলে তারা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের মতোই তৎপরতা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে তারা সক্রিয় আছেন।
এনএইচ২৪/জেএস/২০২১