অবশেষে আট দিন পর ৭ মাস বয়সী অসুস্থ শিশু জান্নাতের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরলেন সেই অদম্য রিশকাচালক পিতা তারেক ইসলাম।
এ সময় তারেক ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগমের চোখেমুখে ছিল সন্তানকে সুস্থ করে তোলার আনন্দের হাসি।
তারা বাড়ি ফেরার আগে রংপুর জেলা প্রশাসকসহ যারা তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য হাত বাড়িয়েছেন তাদের প্রতি ও যেসব গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই শিশুটির সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পেটের মধ্যে নাড়ি পেঁচিয়ে যাওয়ায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউন চলায় অ্যাম্বুলেন্স খরচ জোগাতে না পেরে সন্তানের জীবন বাঁচাতে ঠাকুরগাঁও থেকে ১১০ কিলোমিটার পথ ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে ৯ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন তারেক ইসলাম ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম।
এই পথ পাড়ি দেয়ার মানবিক গল্প হার মানিয়েছে সমস্ত মানবিকতাকে।
এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হলে সেই শিশু জান্নাতের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ের জন্য হাত বাড়িয়েছেন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, স্বপ্ন নামে একটি সুপারশপ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ফর দেমসহ বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
এনএইচ২৪/জেএস/২০২১