একজন কর্মবীরের গল্প

0
1579

ওয়াহেদুজ্জামান দিপু, সাংবাদিক

শ্রী বিপুল চন্দ্র বণিক, গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের লাউর ফতেহপুর গ্রামে। তিনি ১৯৭৯ সালে চট্রগ্রামের লামা বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, ১৯৮১ সালে চট্রগ্রাম কলেজ থেকে এইচ এস সি ও ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (cuet) থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন।

শ্রী বিপুল চন্দ্র বণিকের বাবা স্বর্গীয় ডাক্তার বীরেন্দ্র চন্দ্র বণিক স্বনামধন্য হোমিওপ্যাথিক ডাঃ জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক কলেজের উপধ্যাহ্ম ছিলেন।তিনি প্যারাডাইস হোমিওর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। উনার দাদার নাম স্বর্গীয় রমেশ বনিক। ৫ ভাই দুই বোনের সংসারে বিপুল বণিক পরিবারের ২য় সন্তান।

বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এল জি ই ডি বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা (Project director) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের সরকারী একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েও উনার চালচলন আচার আচরন একেবারেই সাদামাটা, নিরঅহংকারী একজন মানুষ। মানুষটিকে আমি যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।

ঢাকায় বসে স্যোসাল মিডিয়ার কল্যানে নিয়মিত খুজখবর রাখেন জন্মভূমি নবীনগরের। রাস্তাঘাট নির্মাণে যেখানেই অনিয়মের চিত্র দেখে সেইখানেই নিচ্ছে জরুরি ব্যবস্থা।

আবার যেই এলাকায় রাস্তাঘাটের খারাপ অবস্থা ফেসবুকে দেখছে নিজে কমেন্টস করে জেনে নিচ্ছেন রাস্তার ঠিকানা নোটবুকে তোলে নিয়ে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।

কর্মবীরের কাছে কোন কাজের জন্য গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছে এমন মানুষ কমই আছে বটে। নবীনগরেরতো কতই আছে বড় বড় কর্মকর্তা শীর্ষ স্থানে কজন রাখছে কর্মবীরের মতো খবর।
বিপুল চন্দ্র বণিক একজন বিনয়ী ও পরোপকারী মানুষ হিসেবে সমাদৃত। শ্রী বিপুল বণিকের অসাধারণ এই কর্মদক্ষতার কারনে সাধারন মানুষ তাকে কর্মবীর উপাধীতে ভূষিত করেন।এটাও তাঁর জিবনের অন্যতম একটি অর্জন।

যদিউ উনার সাথে আমার সরাসরি কখনো আলাপ হয়নি, তবে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে আলাপ হয়েছে। প্রিয় এই মানুষটির জন্য রইল মন থেকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।এমন মানুষের বর্তমান সমাজে অনেক বেশি প্রয়োজন।

তিনি যে নিতে আসেনি, নবীনগর থেকে কিছু, শুধু দিতে এসেছে নবীনগরবাসীকে। প্রিয় আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।আশাকরি আপনার কাছ থেকে নবীনগর বাসী আরোও অনেক কিছু পাবে।

যেখানে গুনিজনের কদর হয়না, সেখান গুনিজন, জন্মায়না। আমাদেরকে কদর করতে জানিতে হবে। তাদেরকে শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেধে রাখতে হবে।যেন এই মায়াজাল ছিন্ন করে কোথায় যেতে না পারে!আমি উনার ইউনিয়নের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করছি।

এনএইচ২৪/জেএস/২০২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here